সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ সদর | শিরোনাম » সচেতন ও প্রতিবাদী হতে বললেন ডিসি মো. মঞ্জুরুল হাফিজ
সচেতন ও প্রতিবাদী হতে বললেন ডিসি মো. মঞ্জুরুল হাফিজ
জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, এখন অস্ত্র হয়ে গেছে মাইক। কে কত জোরে বাজাতে পারি। বই মেলায় যান দেখবেন যে আওয়াজের ঠেলায় আপনার জীবন শেষ হয়ে যাবে। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
আপনাকে সাধারণ মুনষের কাছে যেতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। ড্রাইভারদের (চালক) কাছে যেতে হবে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী আমরা যে যার অবস্থান থেকে কথা বলতে হবে।
সেমাবার (১৪ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের‘ শব্দ দূষন নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের’’ আওতায় সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এত যন্ত্রনা চলতেছে নারায়ণগঞ্জ শহরে মধ্যে এত মানুষের অত্যাচার। অত্যাচারি বলি কারণ এগুলো সাধারণ মানুষের জন্য অত্যাচারই। আপনার ফুটপাত দখলে। ফুটপাত মানেইতো হাঁটা। সেখানে পণ্যের ব্যবসা করতেছে। আপনি কি প্রতিবাদ করেন? যে কোন এলকায় ৫ জন হিরোইন খোর মিলে পুরো এলাকা টহল দিয়ে বেড়ায়।
আপনারা ৫ জন ভালো মানুষ এলাকাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না ? যে আমরা এলাকায় এটা হতে দিব না। রাস্তা দখল করতে দিব না। সাউন্ড সিস্টেম করতে দিব না। আমার এলাকা আমি ঠান্ডা চাই। এলকায় আপনি মাসের পর মাস ইট রেখে ভবন বানাচ্ছেন পরিষ্কার আইনের লঙ্ঘন।
কেউ কথা বলে না। সবাই অপেক্ষায় থাকি যে কবে সেই পাখি এসে সব কিছু ঠিক করে দিবে। কিন্তু সেই মানুষটা যে আপনি, আপনি জানেন?
সচেতনতামূলক কর্মশলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে উপপরিচলাক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সিভিল সার্জন মুশিউর রহমান, ইকিউএমএস কনসালিটিং লিমিটেড এর পরিবেশ বিয়ষক পরমার্শক মো মাসুম রেজা, সৈয়দ গালিব শাহ, স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রমুখ।
বিভিন্ন বক্তারা শব্দ দূষণের কারণ, প্রভাব, ও প্রতিকার নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ প্রদান করেন।