রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » এবার ইউক্রেনে সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া
এবার ইউক্রেনে সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া
ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করছে রাশিয়া। প্রতিদিনই আক্রমণ চালানো হচ্ছে নতুন নতুন শহরে। এর মধ্যেই এবার ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে রোববার (১৩ মার্চ) গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শহরটির কাছে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ একটি সামরিক ঘাঁটি।
সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রুশ সামরিক বাহিনী বিমান থেকে লভিভের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাওয়া গেছে দফায় দফায় বিস্ফোরণের খবর। শহরটির সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে সেখানকার আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কেন্দ্রে (আইপিএসসি) ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কেন্দ্রটি লভিভ শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ কিলোমটিার দূরে অবস্থিত।
এর আগে, ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রবহর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় রাশিয়া। শনিবার (১২ মার্চ) রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছি যে বিভিন্ন দেশ থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো শুধু একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ নয়, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা এই অস্ত্রবহরগুলোকে বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।
পশ্চিমারা ইউক্রেনের সেনাদের কাঁধে বহনযোগ্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, ট্যাংক ধ্বংস করার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে জানিয়ে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ওয়াশিংটন মস্কোর সতর্কতাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। ফলে ইউক্রেনের বিষয়ে কোনো ‘আলোচনা প্রক্রিয়ায়’ যাচ্ছে না রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়া অভিযান শুরু করার আগে অর্থাৎ মস্কো যখন ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছিল, তখন থেকেই বারবার পশ্চিমা শক্তির কাছে সামরিক সহায়তা চেয়ে আসছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে মস্কো শুধু সীমান্তেই থেমে থাকবে না।
এদিকে রুশ সামরিক অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিনই ইউক্রেন ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড ও রোমানিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।