শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ‘বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটনের মতো অনেক কিছু রপ্তানি হচ্ছে’
‘বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটনের মতো অনেক কিছু রপ্তানি হচ্ছে’
বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটনের মতো অনেক কিছুই রপ্তানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
বুধবার (০৯ মার্চ) দুবাই ফেস্টিভ্যাল সিটির হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক বা আরএমজি রপ্তানিকারক নয়। এখন বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটনের মতো অনেক কিছুই রপ্তানি করা হচ্ছে। আজকের এই অনুষ্ঠানটি ওয়ালটন স্পন্সর করেছে। সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
এ সময় তথ্য উপস্থপনকালে বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটর মার্কেটের শুধু কম্প্রেসার প্রস্তুতকারকদের ৭০ শতাংশ শেয়ার ওয়ালটনের দখলে রয়েছে বলে জানানো হয়।
শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘এক সময়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইলেকট্রনিক এবং যন্ত্রপাতি আমদানি করতাম। এখন এসব পণ্য উৎপাদন করছে বাংলাদেশ। এখন কোরিয়ান জায়ান্ট স্যামসাংয়ের পণ্য বাংলাদেশে তৈরি হয়। স্যামসাং বাংলাদেশে টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশন, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন সবকিছুই তৈরি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন গাড়ি কোম্পানিগুলোও আসছে। এখন বাংলাদেশ গাড়ি উৎপাদন শুরু করছে। মিৎসুবিশি মটর এখন প্রগতি গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। আর পিএইচপি গ্রুপ প্রোটন কার তৈরি করছে। হুন্দাই দেশে গাড়ি তৈরির কারখানা নির্মাণ করছে।’
প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে বিএসইসি ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজার) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনসহ সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ দুবাইয়ের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারী এবং স্টেক হোল্ডাররা অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত অতিথিরা বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। সেখানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি, শেয়ারবাজার ও সার্বিক অর্থনীতির পরিস্থিতি এবং এফডিআই’র বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া, দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কীভাবে শেয়ার বাজারে সরাসরি বিনিয়োগ করবেন তার কৌশল ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় তুলে ধরা হবে।