বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করলে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব : রাষ্ট্রপতি
সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করলে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। বর্তমানে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় পূর্ব-প্রস্তুতিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কার্যকর কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০মার্চ) ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দেশব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ দিবস পালিত হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের সফলতা, দুর্যোগ প্রস্তুতিতে গতিশীলতা’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে।
মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছরই বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে থাকে। সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে এসব দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। উপকূলীয় বনায়নের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং মুজিব কিল্লা নির্মাণের কাজও তখন থেকে শুরু হয়েছিল। তিনি (বঙ্গবন্ধু) ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিকে (সিপিপি) সরকারের অন্যতম একটি কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন, যা আজও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি উত্তম চর্চা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই বর্তমান সরকার দুর্যোগ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের টেকসই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে এবং মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামীণ রাস্তায় সেতু-কালভার্ট নির্মাণ, গ্রমীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিংবোন বন্ডকরণ, উপকূলীয় এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন,এসব কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপে সম্পদের সুষ্ঠু ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যথাযথ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ উল্লেযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলেও রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রমের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।