মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | রাজনীতি | শিরোনাম » আগামী নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে : হানিফ
আগামী নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে : হানিফ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় ছাত্রলীগের ‘চারুকলা সম্মেলন ২০২২’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রেক্ষিতে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে। কাজেই এটা নিয়ে তাদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। আগামী সংসদ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই নির্বাচনে বিএনপিকেও আসতে হবে।’
দেশের যতকিছু অর্জন সব আওয়ামী লীগের হাত ধরে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। আর দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শত প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
হানিফ বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশে দুঃশাসন চেপে বসেছিলো। ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার ও বঙ্গবন্ধুর নাম নিষিদ্ধ ছিলো। আওয়ামী লীগকে খন্ড-বিখন্ড করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছিলো। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে করা হয়েছিল। বিনা বিচারে জেলখানায় রাখা হয়েছিলো। এই বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্র করার কাজ করেছিলেন বিএনপি নেতারা। অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া বলেন, জন্মগতভাবেই ছাত্রলীগ গণতন্ত্রের সুরক্ষা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহামনের হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ স্বায়ত্বশাসন, স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, এসবের পরও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একটি শ্রেণী ছাত্রলীগকে খাঁটো করে দেখেন। তারা কারণে-অকারণে ছাত্রলীগের সমালোচনা করেন। তারা সরকারকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করতে ইনিয়ে বিনিয়ে অপপ্রচার চালায়।
চারুকলা অনুষদ ছাত্রলীগের সভাপতি তন্ময় দেব নাথের সভাপতিত্বে এবং অনুষদের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম ইসলামের লিমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দীন আহমেদ, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।