মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » নারীরা অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন, স্বাবলম্বীও হচ্ছেন
নারীরা অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন, স্বাবলম্বীও হচ্ছেন
শ্রমবাজারে ভূমিকা রেখে অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন, সাবলম্বীও হচ্ছেন। কিন্তু তারপরও কাজের স্বীকৃতি পান না। বলছি, দেশের প্রান্তিক নারীদের কথা। মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হওয়াসহ ধর্মীয় গোঁড়ামিতে তাদের পিছিয়ে যেতে হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী নারীরা।
জুতো আবিষ্কারের গল্পটা নতুন করে বলা যাক। বছরে কমপক্ষে ৭০ লাখ জোড়া কেডস তৈরি হয় বরিশালের ফরচুন সুজ লিমিটেড নামের এই প্রতিষ্ঠানটিতে। পুরোটাই রপ্তানি হয় জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইটালি, বেলজিয়াম, হল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডসহ পৃথিবীর অন্তত ৬৪টি দেশে। আর এর প্রায় সবই তৈরি হয় নারীদের হাতে। কারখানায় শ্রমিকদের ৮০ ভাগই নারী।
ভিনদেশের মাঠে যখন নারীদের জয়জয়কারের গল্প, তখন নিজ দেশের মাটিতে বঞ্চনার আক্ষেপ প্রান্তিক নারীদের কণ্ঠে।
নারীরা জানান, দিবস থাকলেই কি না থাকলে কি আমাদের কাজ করে খেতে হয়। আমরা শ্রমের ন্যায্যমূল্য চাই।
আর্থিক অনটনে কাজে নামলেও ন্যায্য পারিশ্রমিক না পাওয়া, ধর্মীয় গোঁড়ামির শিকার হওয়াসহ অন্তহীন নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয় তাদের।
উদ্যোক্তাদের মতে, পুরুষের চেয়ে নারীরাই কাজে বেশি মনোযোগী। এদের শ্রমেই বৈশ্বিক অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ।
ফরচুন সুজ লিমিটেডের সিইও রেদোয়ান আহমদ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের ৮০ শতাংশ নারী। এখানে পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেকাংশে কাজেরে দিক থেকে এগিয়ে থাকে।
নারী দিবস কিংবা অন্য কোন উৎসব আলাদা করে জানান দেয় না তাদের কাছে, কর্মই যাদের ধর্ম। রাষ্ট্রকেই প্রান্তিক নরীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে হবে বলে দাবি নারী নেত্রীদের।
বরিশাল বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি রাবেয়া খাতুন বলেন, নারী অধিকার আদায়ের জন্য যে লড়াই, সেটা আমাদের এখনো চালিয়ে যেতে হয়। রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রান্তিক পর্যায়ে শ্রম দিয়ে বৈশ্বিক অঙ্গনে সোনার আখরে বাংলাদেশের নাম এঁকে চলেছেন বরিশালের এই নারীরা।
অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে যখন দুর্বার গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এর পেছনের কারিগর, এই নারি শক্তির অবদান থেকে যাচ্ছে অনেকটাই নীরবে। যাদের কি না আজও লড়াই করতে হয়, সংগ্রাম করতে হয়, সমঅধিকারের জন্য।