মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতাকামী জাতির জন্য এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা
৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতাকামী জাতির জন্য এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের সব স্বাধীনতাকামী জাতির জন্য এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা এবং চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস।
সোমবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন হাইকমিশনার।
ক্যানবেরার বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, হাইকমিশনার তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক বিচক্ষণতার বিভিন্ন দিক এবং ৭ই মার্চের ভাষণের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। সুফিউর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণকে মহাকাব্য উল্লেখ করে বলেন, এ ভাষণের মাধ্যমে বাংলার জনগণের সহস্র বছরের স্বাধীনতা লাভের ন্যায্য দাবির স্ফুরণ ঘটেছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার এ ভাষণে বাংলার স্বাধীনতা অর্জনের প্রতিটি পদক্ষেপের সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন।
বাঙালির স্বাধীনতার চেতনার বিকাশে এ ভাষণের ভূমিকার বিশদ গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন হাইকমিশনার। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রতিটি মানুষের বঞ্চনার অভিজ্ঞতা এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা অনুভব করতেন। তিনি সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। বাংলার মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনও আপস করেননি বঙ্গবন্ধু।
এছাড়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী বাংলাদেশি ড. কামাল উদ্দিন ও ড. আবেদ চৌধুরী। আলোচকরা উল্লেখ করেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পরে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রকে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ ভাষণে সুনিপূণভাবে তুলে ধরেন বাংলার আপামর জনসাধারণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। তারা অন্যান্য বিশ্বনেতাদের ঐতিহাসিক বক্তৃতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করেন এবং বলেন, এই ভাষণ ইতিহাসের একমাত্র ভাষণ, যা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছিল।
সোমবার সকালে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন হাইকমিশনার সুফিউর রহমান। পরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।