সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » তথ্যপ্রযুক্তিখাতে উজবেকিস্তান হতে পারে বাংলাদেশের রপ্তানি গন্তব্য - পলক
তথ্যপ্রযুক্তিখাতে উজবেকিস্তান হতে পারে বাংলাদেশের রপ্তানি গন্তব্য - পলক
তথ্যপ্রযুক্তিখাতে উজবেকিস্তান বাংলাদেশের ‘রপ্তানি গন্তব্য’ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। উজবেকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল টেকনোলজি উপদেষ্টা অলিমজন ইমারাভ ও উদ্ভাবনী উন্নয়ন মন্ত্রী ইব্রোখিম ওয়াই আবদুর আখমনভের সাথে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের এক বৈঠককালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন সে ক্ষেত্রে উজবেকিস্তান হতে পারে ‘রপ্তানি গন্তব্য’।
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগগুলো তুলে ধরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান উজবেকিস্তান আমাদের কাছ থেকে প্রযুক্তি সহযোগিতা চেয়েছে। বিনিয়োগেরও প্রস্তাব দিয়েছে। এসব প্রস্তাব ও সম্ভাবনাগুলো যাচাই করে উজবেকস্তানের সঙ্গে প্রযুক্তি, জনবল কিংবা সেবা বিনিময়ে এ বিষয়ে চুক্তি হবে বলেও জানান পলক।
বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে জানানো হয় বাংলাদেশ থেকে বিপিও এবং সফটওয়্যার সেবা নিতে পারে উজবেকিস্তান। দেশটির গবেষণা ও উন্নয়নেও অংশীদার হওয়ার আগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশের। এসব বিষয় নিয়ে আগামী অক্টোবরে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
বাংলাদেশের আইসিটি খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বৈঠকেই আইসিটি প্রতিমন্ত্রী প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরে প্রযুক্তি দক্ষ জনশক্তি আকর্ষণের পাশাপাশি বিনিয়োগ সম্ভাবনার তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। তিনি যৌথ অংশদারিত্বের মাধ্যমে দেশটির প্রযুক্তি খাতে অবদান রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। প্রতিমন্ত্রী উজবেকিস্তান চাইলে দেশটিকে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। আলোচনায় দু’দেশের মধ্যে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া সফররত বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সাথে সমরখন্দের গভর্নর এরকিনজন তুরদিমভের ও রোববার বুখারার গভর্নর ওকতাম বারনয়েভের মধ্যে ফলপ্রসু বৈঠক ফলপ্রসূ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে গবেষণা এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে উজবেকিস্তান অল্পদিনেই কীভাবে এতো অগ্রগতি অর্জন করেছে তা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সাথে শেয়ার করেছে উজবেকিস্তানের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গ্রুপ (আইএসডিবি গ্রুপ) এর বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে তাসখন্দে এক সরকারি সফরে রয়েছেন ১৪ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন এফবিসিসি আই সাবেক সভাপতি মীর নাসির, বর্তমান সহ-সভাপতি এম.এ রাজ্জাক খান রাজ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএম) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মুনীর, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনসহ প্রযুক্তি, শিল্প ও পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।
এছাড়াও এই প্রতিনিধি রয়েছেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক লিয়াকত আলী লিয়াকত, ওয়ালমার্ট ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকটনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ ফরিদ আহমেদ, ওয়ালকার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিহা জারিন অরনা এবং দোহাটেক নিউ মিডিয়ার প্রেসিডেন্ট এ. কে.এম সামসুদ্দোহা।