রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | রাজনীতি | শিরোনাম » ১৩ বছরে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে তিনগুণ : তথ্যমন্ত্রী
১৩ বছরে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে তিনগুণ : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৩ বছরে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতা তিনগুণ বেড়েছে।
তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির সভাপতি খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় কবি নির্মলেন্দু গুণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো আর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে দেশ পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতি যাদের পছন্দ হয় না, তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যদি বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন না করতো তাহলে আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি কোনটাই রক্ষা পেতো না। তার নেতৃত্বেই বাঙালিদের ইতিহাসের পাতায় জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি রক্ষা করেছেন। সে কারণেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।’
ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় ৬শ’ থেকে ২৬শ’ ডলারে উন্নীত হয়েছে, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। আজকে গ্রামে হ্যারিকেন দেখা যায় না। হ্যারিকেন-চেরাগ-কুপি বাতি এখন ড্রয়িং রুমে সাজিয়ে রাখতে হবে। গত ১০ বছরে কৃষিতে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে শিশুরা এখন হালের বলদ চেনে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা এগুলো দেখেও দেখেন না।’
‘আজকে প্রতিটি মানুষ ভালো আছে অথচ মির্জা ফখরুল সাহেবরা মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য, বিভ্রান্ত করার জন্য নানা ধরণের কর্মসূচি পালন করছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আজকে দেশ বদলে গেছে, কবিতায় কুঁড়েঘর আছে, বাস্তবে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়না। যে ছেলে ১২ বছর আগে বিদেশ গেছে, সে এসে শহর-গ্রাম চিনতে পারে না। আজ শহরের একটি ছেলের সাথে গ্রামাঞ্চলের ছেলের বেশভূষার কোনো পার্থক্য নেই। এই যে পরিবর্তন, এটি শেখ হাসিনার কারণে হয়েছে। আর মির্জা ফখরুল সাহেবরা দুর্নীতিতে দেশকে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলো, হাওয়া ভবন বানিয়ে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেছে এবং সমস্ত ব্যবসার ওপর টোল বসিয়েছে। তারা মানুষকে এগুলোই দিতে পেরেছে, অন্য কিছু নয়।’
বিকেলে মন্ত্রী সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বেসরকারি রেডিও চ্যানেল মালিকদের সংগঠন প্রাইভেট রেডিও ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (প্রাওব) প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। প্রাওব প্রেসিডেন্ট এশিয়ান রেডিও’র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: হারুন-উর-রশিদের নেতৃত্বে সংগঠনের উপদেষ্টা মো: নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া লিটন ও মনোরঞ্জন দাস, সদস্য এটিএম জিয়া হাসান, সাজ্জাদ হোসেন রশীদ, কাওসার আহমেদ, সাম্স সুমন, শাহ রেজাউল মাহমুদ, আনিসুজ্জামান, কামরুজ্জামান কামাল প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
এসময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বেসরকারি রেডিও সম্প্রচার শুরু হয়। ২৮টি প্রাইভেট রেডিও লাইসেন্স দেয়া আছে, তারমধ্যে ১৯টি সম্প্রচারে আছে। এছাড়া রয়েছে কমিউনিটি রেডিও। মানুষ রেডিও শোনা অনেকটা ভুলে গিয়েছিলো, প্রাইভেট রেডিও আবার শ্রোতা সৃষ্টি করেছে, মানুষকে অনেকটা রেডিওমুখী করেছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে, বিভিন্ন ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বেসরকারি গণমাধ্যমগুলোতে অনেক মেধাবী তরুণ-তরুণী কাজ করছে, যা শুধু গণমাধ্যমের বিকাশের ক্ষেত্রেই ভূমিকা রেখেছে তা নয়, এটি এখন চাকরির একটা বড় ক্ষেত্র। গণমাধ্যম সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করতে, সমাজের অনুন্মোচিত বিষয় ও তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে, আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বাংলাদেশ কেন জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত ছিলো সে নিয়ে নানা কথা বলেছেন। তিনি চান বাংলাদেশ বিবাদে জড়াক। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো বিবাদে জড়াতে চায় না। আর ভারত, পাকিস্তান কেন বিরত ছিলো সেই ব্যাখ্যা যদি মির্জা ফখরুল সাহেব দেন খুব ভালো হয়। সবচেয়ে বড় কথা আমরা পৃথিবীতে শান্তি চাই এবং শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে আমরা কোনো পক্ষভুক্ত হতে চাই না।’