রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, কোনো ঘাটতি নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, কোনো ঘাটতি নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বাংলাদেশ এখন স্থিতিশীল আছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, কোনো ঘাটতি নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নতশীল দেশের কাতারে চলে গেছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, কোনো ঘাটতি নেই। সবার খাবার আছে, কাপড় আছে, শিক্ষা আছে। কেউ না খেয়ে নেই। মূলত দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে বলেই দ্রুত এসব সম্ভব হচ্ছে।’
রোববার (৬ মার্চ) ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় বিএনপি-জামায়াত সরকারের উদ্দেশে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কিন্তু কিছু মানুষ এসব উন্নয়ন চোখে দেখতে পারছে না। তারা ভালো কিছু দেখে না, শুধু সরকারের খারাপ কাজ দেখে। আজকে দেশের প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে। অথচ তাদের সময়ে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। আজকে তারা বলে দেশের অবস্থা নাকি ভালো না।’
তাই নিজেদের দেশের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে হবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। বলেন, ‘যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের কথায় কান দেওয়া যাবে না। তাদের কাজেই বাসে আগুন দেওয়া ও মানুষ হত্যা করা।’
শেষে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘এখন খুন-ধর্ষণ কমে গেছে। রাতে মেয়েরা নির্ভয়ে চলাচল করতে পারছে। তারা অফিস শেষ করে নিরাপদে বাসায় ফিরছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আপনার কল্যাণে।’
এ সময় ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঢাকা যেভাবে গড়ে উঠেছে, এই নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যেভাবে গড়ে উঠবে না। এই ওয়ার্ডগুলোতে নিয়মিত গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ-সুয়ারেজের লাইনের জন্য রাস্তা খুঁড়তে হবে না। পরিকল্পিতভাবে এবং আধুনিক সব সুবিধা নিয়ে এসব গড়ে উঠবে। ফলে জনগণ উন্নত জীবনযাপন করতে পারবে।’
রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোকে উন্নত করা হচ্ছে। খনন করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে নদীর সীমানা পিলার বসানো হয়েছে। ফলে শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শহর ও গ্রামের প্রতিটি নাগরিকের অর্থবহ জীবন নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সীমিত শক্তি দিয়ে হলেও রাজধানীকে আধুনিক করার চেষ্টা চলছে।
পরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহর গড়ে ওঠেনি বলে ধীরে ধীরে এটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। মূল ঢাকার চেয়েও ডিএনসিসিতে সংযুক্ত নতুন ১৮টি ওয়ার্ড আরো সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।