শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ সদর | শিরোনাম » নির্লজ্জদের কিসের ইতিহাস : বাবু
নির্লজ্জদের কিসের ইতিহাস : বাবু
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু বলেছেন, জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিকবার সম্মাননা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থাকলে এসবের কিছুই থাকে না।আমরা ১৫ আগষ্টও পালন করতে পারি না। দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতে গেলে তারা রক্তে রঞ্জিত করে দিতেন, তাদের মাথা নষ্ট হয়ে যেত। ৭ মার্চের ভাষণের জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা খুন করেছেন। শেখ মুজিবকে পর্যন্ত এ চক্র খুন করেছে।
শনিবার (৫ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতির জনকের নির্দেশনায় যে বাংলাদেশ আজ সোনার, এদেশ যখন তাবেদারদের কাছে জিম্মি হয়ে যায় তখন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে খারাপ লাগে। যেদিন আপনাদেরও খারাপ লাগবে সেদিন বুঝবেন আপনি প্রকৃত কর্মী। শেখ মুজিবকে ভালবেসে আপনারা সেদিন বাবা মায়ের ভালবাসা তোয়াক্কা না করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আপনাদের এ ত্যাগের কারনে আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
বাবু বলেন, যখন আমরা এই জাতির কথা দেশের কথা বলব ,তখন আপনাদের কীর্তিমান ইতিহাস আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করবে। এটাই হবে সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমাদের দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত বাংলাদেশ। যতদিন আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে রাখব ততদিন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা মনে রাখব।
”আজ আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের অবহেলা এমনকি নির্যাতনেও পিছপা হই না। আমাদের এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরের সম্মান, নিবাস দেয়া হয়েছে, ভাতা ও সম্মাননা এগুলো কোন রাষ্ট্রপ্রধান ভাবেননি। ভেবেছেন শুধু শেখ হাসিনা। আপনাদের প্রাপ্য আপনাদের হাতে তুলে দিয়ে তিনি জাতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। আমাদের জননেতা আনোয়ার হোসেনও একইভাবে আপনাদের সম্মান করতে চান।”
তিনি বলেন, আপনারা মুক্তিযোদ্ধারা এখনও শোনেন মানুষ বলে মারামারির বছর, গন্ডগোলের বছর। এগুলো কারা বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না। তারা এ দেশে খালেদা জিয়া, এরশাদ, জিয়াউর রহমানের রাজনীতি করে স্বাধীনতার পক্ষে শক্তিকে মেরেছে, আমাদের নেতাকর্মীদের কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা তাদের শাসন দেখেছি। অনেকেই সময়ে সময়ে ভোল পাল্টে সরকারি দলের রাজনীতি করেছেন। কিন্তু জনগনের জন্য কী করতে পেরেছেন তা আজ স্পষ্ট।
ঢাকার পাশে আমাদের শহর, এখানে কোন হাসপাতাল নেই, কলেজ নেই। এখানে মানুষ হিসেবে বাঁচার উপায় নেই। যা পেয়েছেন শেখ হাসিনার আমলে পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষ অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা আদমজী জুটমিল হারিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আসার পর নারায়ণগঞ্জে যা দরকার তার অনেকটাই আমরা করতে পেরেছি।
আমাদের শেখ হাসিনার পাশে থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। শেখ মুজিবের বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়াবেই। পৃথিবীর কোন শক্তি এ দেশের মাথানত করতে পারবে না। আজ এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে সম্মান করা হয়েছে, তেমনিভাবে শিক্ষায় এদেশক এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছেন। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আলোকিত করতে পেরেছি। নিজ অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু করোছি। যারা সফলতা দেখে না তাদের বলব, নির্লজ্জদের কিসের ইতিহাস।
তিনি আরো বলেন, আমরা যখন সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি তখন কোন রিক্সাচালককে তার সন্তানের পড়ালেখা করাতে সমস্যা হচ্ছে না। আজকে সোনার বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের সকল প্রতিষ্ঠান যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এভাবেই এ দেশ সমৃদ্ধির শিখড়ে পৌছাবে।