শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » নিয়ন্ত্রণহীন পেঁয়াজের বাজার, তেলে কৃত্রিম সংকট
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » নিয়ন্ত্রণহীন পেঁয়াজের বাজার, তেলে কৃত্রিম সংকট
৩৫৭ বার পঠিত
শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নিয়ন্ত্রণহীন পেঁয়াজের বাজার, তেলে কৃত্রিম সংকট

---

নিত্যপণ্যের নিয়ন্ত্রণহীন দামে নাভিশ্বাস জনজীবনে। এমন তালিকায় যুক্ত হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণের কাছাকাছি। অন্যদিকে আকাশছোঁয়া দামের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। বোতলে লেখা মূল্যের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর বাজারগুলোতে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়েও যে পেঁয়াজ বিক্রি হতো ৩০-৩৫ টাকায় সেই পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ওইদিন পেঁয়াজ পাওয়া গেছে ৫০-৫৫ টাকায়।

শনিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মধুবাগ ও রামপুরা বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা গৌতম পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবারে শীতকালে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পেঁয়াজের কাঙ্ক্ষিত ফলন হয়নি। যে কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। সামনে রোজার মাস, তাই মানুষের মধ্যে পেঁয়াজ কেনার প্রবণতা বেশি দেখতে পাচ্ছি। যদিও এ বছর আগেভাগেই সবকিছুর দাম একটু বেশি। আমরাও হতাশ, কারণ দাম বাড়লে বেচাকেনা ভালো হয় না।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কারওয়ান বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায় সেই পেঁয়াজ রামপুরা, মুধবাগ এলাকায় এসে মান অনুসারে ৬৫-৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রসুন (ভারতীয়) বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা কেজি আর আদা ৮০ টাকায়।

অন্যদিকে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগ উঠেছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার প্রতি গোপনে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৮৫ টাকা পর্যন্ত। যদিও বোতলে লেখা মূল্য ১৬৫-১৬৮ টাকা। আর পাঁচ লিটারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বিক্রি মূল্য ৭৯৫-৮০০ টাকা হলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে মধুবাগের ব্যবসায়ী মাহাবুব হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরে ডিলাররা তেল সরবরাহ করছে না। অর্ডার দিয়েও তেল পাচ্ছি না। অনেকেই তেল চাচ্ছে, দিতে পারছি না।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৬৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ঠিক করা হয় ৭৯৫ টাকা। এর ২০ দিনের মাথায় গত সপ্তাহে আবার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা করে বাড়াতে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা প্রস্তাব দিলেও তাতে সায় দেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে শীতের শেষে হঠাৎ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচা মরিচের। আজকের বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। তবে দুই-একটি ছাড়া সবজির বাজারদর প্রায় একই রকম রয়েছে।

গোল আলু ২৩-২৫ টাকা, লাউ ৭০-৮০, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৫০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, গাজর ৩৫-৪৫ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শালগম ৪০-৪৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি আগের মতোই ৩০-৪০ টাকা পিস বিক্রি হলেও ফুলকপি ও ব্রোকলি ৫০-৬০ টাকায় পিস বিক্রি হচ্ছে।



আর্কাইভ