বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ডাকা জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিবাদে বুধবার (০২ মার্চ) জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়। এ প্রস্তাবের পাশাপাশি ইউক্রেনে হামলা বন্ধ ও সেনা সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে ভোট দেয় ১৪১টি দেশ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অবিরাম গোলাবর্ষণ ও সামরিক অভিযানের মধ্যেই বুধবার জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। সংস্থার নিরাপত্তা পরিষদের ডাকা বিরল এ জরুরি সভায় এদিন ইউক্রেনে রুশ হামলার নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়। ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে রায় দেয় ১৪১টি দেশ। বাংলাদেশ, ভারত, পকিস্তান, চীন, ব্রাজিল কিউবা ও ভেনেজুয়েলাসহ ৩৫ দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। অন্যদিকে রাশিয়ার পক্ষ নিয়ে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া।
ভোটদানে বিরত থাকলেও সাধারণ পরিষদের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের নেতৃত্বে সংলাপের মাধ্যমে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয় বাংলাদেশ।
সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়া প্রস্তাবে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ইউক্রেনে অবিলম্বে রুশ হামলা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে রুশ সেনা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। কিয়েভে সামরিক অভিযানের জেরে পুতিন সরকারকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করার লক্ষ্যেই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনে অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, কেউ কেউ হয়তো এই যুদ্ধ বসে বসে দেখছে আর ভাবছে এটা তাদের যুদ্ধ নয়। এটা ভুল। তারা কখনোই থামবে না। রাশিয়াকে থামাতে এ প্রস্তাবনা একটি দেয়াল হিসেবে কাজ করবে।
তবে এই প্রস্তাব পাসের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে কোনো বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাশিয়া হামলা চালাচ্ছে না। দেশটিতে খুব দ্রুত শান্তি বিরাজ করবে। প্রস্তাবে ২০১৪ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা প্রেসিডেন্টের বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই।
ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের অবস্থান পরিষ্কার উল্লেখ করে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকটের সমাধানের আহ্বান জানান সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ হামলার ফলে সৃষ্ট শরণার্থী সংকট নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
টুইটারে দেওয়া বিবৃতিতে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি ইউক্রেনে থাকা লাখো মানুষকে যাতে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদান করা যায়, সে জন্য গোলাগুলি বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার আশঙ্কা, এই সংঘাত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারে আর তাদের ত্রাণের প্রয়োজন হবে।