বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | বিনোদন | শিরোনাম » আন্টার্কটিকার হিমশীতল পানিতে সিল মাছের অভিযান
আন্টার্কটিকার হিমশীতল পানিতে সিল মাছের অভিযান
আন্টার্কটিকার হিমশীতল পানিতে অভিযান চালাবে সিল মাছ। একধরনের মনিটরিং ডিভাইসের মাধ্যমে সেখানকার বরফের নিচের পানির লবণতা, উষ্ণতা সকল তথ্য সংগ্রহ করে আনবে সিল মাছ।
মাছের মাথায় লাগানো হেলমেটের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টেনা। এমনই এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন জাপানের গবেষকরা। ৮টি সিল মাছের মাথায় অ্যান্টেনা লাগানো হেলমেট পরানো হয়েছে।
তবে, এরূপ অভিযানের জন্য কেন সিল মাছকেই বেছে নেওয়া হলো সেটি সম্পর্কে গবেষকরা অবশ্য তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, মানুষের পক্ষে এমন হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো সহজসাধ্য ব্যাপার নয়।
৫৮০ গ্রামের এই মনিটরিং ডিভাইসের সাহায্যে সিল মাছেরাই কেবল মেরুপ্রদেশের বরফের নিচে লুকিয়ে থাকা নানা অজানা তথ্য সংগ্রহ করার জন্য উপযুক্ত হবে। গবেষকদল তাদের গবেষণার কাজের জন্য ব্যবহার করবেন আটটি সিল মাছ।
জাপানি গবেষকরা আন্টার্কটিকার বরফের নিচের হিমশীতল পানির মধ্যেই পর্যবেক্ষণ চালাতে চাচ্ছেন। গবেষকদলের প্রধান নবুও কোকুবুন জানিয়েছেন, গবেষণাটি জীবজন্তুদের ব্যবহারের পরিকাঠামো এবং ইকোলজি বুঝতে সহায়তা করে।
কিন্তু মানুষের পক্ষে প্রবল ঠান্ডায় আইসব্রেকারের সাহায্যে বরফ ভেঙে আসল তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। একাধিক জায়গায় কাজ করাও সম্ভব হয়ে উঠছিল না। তখনই গবেষকগণ সিদ্ধান্ত নেন এই কাজে ব্যবহার করবেন সিল মাছদের।
সিল মাছদের মাথায় মনিটরিং ডিভাইস পরিয়ে পাঠানো হয় বরফের নিচের স্তরে। জাপানের শো স্টেশনটি রয়েছে জাপানের আন্টার্কটিকায়। সেখান থেকে প্রায় ৬৩৩ কিলোমিটার সফর করেছিল একটি সিল মাছ। আর সিল মাছটি আবার পানির নিচে গিয়েছিল প্রায় ৭০০ মিটার গভীরে।