শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

N2N Online TV
বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বাংলাদেশ-আফগানিস্তান: টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে কে এগিয়ে
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বাংলাদেশ-আফগানিস্তান: টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে কে এগিয়ে
৫৩০ বার পঠিত
বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান: টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে কে এগিয়ে

---

ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পাওয়া বাংলাদেশ দলের চাওয়া ছিল শেষ ওয়ানডেতেও আফগানদের হারিয়ে ওয়ানডে সুপার লিগের এই সিরিজে বরাদ্দ ৩০ পয়েন্ট তুলে নেওয়া। পারেনি তামিম ইকবালের দল। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় হারে শেষ হয় সিরিজ। ২-১ ব্যবধানে জয় পাওয়া সিরিজে ব্যাটিংটা হয়নি দলের মনের মতো । এবার শুরু টি-টোয়েন্টির লড়াই। টি টোয়েন্টিতে পরিসংখ্যান ও কাগজে কলমে এগিয়ে থাকা আফগানদের বিরুদ্ধে অ্যাসিড টেস্টে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) মাঠে নামবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বাহিনী।

ওয়ানডেতে লাকি ভেন্যু চট্টগ্রামে সিরিজ জয় করে এবার মিরপুরে টাইগারদের টি-টোয়েন্টির পরীক্ষা। ওয়ানডেতে দারুণ দল বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা এখনো রপ্ত করতেই পারল না। টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে আফগানরা অবস্থান করছে বাংলাদেশের ঠিক উপরেই। ২৩২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে ৮ নম্বরে। অন্যদিকে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট আফগানদের চেয়ে ঠিক ১ কম; ২৩১। বাংলাদেশ আছে র‍্যাংকিংয়ের নয়ে।

র‍্যাংকিংয়ের মতো মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে আফগানরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুদল এখন পর্যন্ত ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। সেখানে আফগানদের ৪ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২ বার।

বাংলাদেশের ২ জয়ের দুটিই দেশের মাটিতে। প্রথম জয়টি ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। মিরপুরের মাঠে আগে ব্যাট করে সাকিব আল হাসানের বোলিং জাদুতে ৭২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল আফগানদের ইনিংস। জবাবে ১২ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়টি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

আফগানদের চার জয়ের তিনিটিই ভারতের মাটিতে। দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটিতেও রশীদ খান-মুজিবদের জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ১৪৪ রানের। আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ ১৬৭। আফগানিস্তানের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস ৭২ রানের। অন্যদিকে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ইনিংসটি ১৩৪ রানের।

বাংলাদেশ -আফগান সিরিজে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও আফগানরা সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে মাহমুদউল্লাহ-সাকিবদের সঙ্গে। দুদলের লড়াইয়ে ১৩৮ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রান সংগ্রহের দিক দিয়ে রিয়াদের ঠিক পরেই আছেন আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। তার সংগ্রহ ১২৫ রান। ১২৩ রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে সাকিব আল হাসান। সেরা পাঁচে বাকি দুজন আফগানিস্তানের সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম।

ব্যক্তিগত সেরা ইনিংসটিও মোহাম্মদ নবীর দখলে। তার ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংসটিই দুদলের লড়াইয়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের পক্ষে সেরা ইনিংসটি সাকিব আল হাসানের অপরাজিত ৭০ রানের।

দুদলের লড়াইয়ে সর্বোচ্চ উইকেট আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশীদ খানের। ১২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে থাকা রশীদকে অনুসরণ করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। তার সংগ্রহ ৮ উইকেট।

আফগানদের পক্ষে সেরা বোলিং রেকর্ড রশীদ খানের। ১২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই লেগস্পিনার। বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ৩৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সাকিব আল হাসান বল হাতেও বেশ ভুগিয়েছেন আফগানদের। ৮ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার আফগানদের বিপক্ষে সাকিবের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স।

র‍্যাংকিংয়ে কাছাকাছি থাকা বাংলাদেশ-আফগানিস্তান দুদলের সিরিজে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। মিরপুরের স্পিননির্ভর স্লো পিচে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন আফগান স্পিনাররা। দুদলেরই বোলিং স্পিননির্ভর হলেও বোলিং বিচিত্রে এগিয়ে আছে আফগানরাই। তবে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা ব্যাটিং নিয়ে। আজও যদি ব্যাটাররা জ্বলে উঠে ব্যর্থ হয় তবে আফগানদের বিরুদ্ধে ভুগতে হতে পারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলকে।



আর্কাইভ