সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » এ্যান্ডোরাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড
এ্যান্ডোরাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড
ইউরো ২০২০’র ফাইনালে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গের পর প্রথমবারের মত কাল ওয়েম্বলির মাঠে খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। আর সবকিছুকে পিছনে ফেলে অপেক্ষাকৃত দূর্বল দল এ্যান্ডোরার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলের বড় জয় তুলে নিয়েছে ইংলিশরা। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড এই ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করলো।
গত সপ্তাহে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৪-০ গোলের সহজ জয়ের ম্যাচটিতে খেলা পুরো একাদশই কাল বদলে ফেলেছিলেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ১৯৮২ সালের পর এই প্রথম পুরো একাদশ পরিবর্তন করে ইংল্যান্ড মাঠে নামলো। কিন্তু পরিবর্তিত দলটিও কোচকে হতাশ করেনি। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ১৫৬তম অবস্থানে থাকা এ্যান্ডোরা পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের রক্ষনভাগকে কোন সমস্যায় ফেলতে পারেনি।
ম্যাচে দুই গোল করেছেন জেসি লিঙ্গার্ড। বদলী খেলোয়াড় হিসেবে স্পট কিক থেকে এক গোল করেছেন তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেন। এরপর শেষভাগে বুকায়ো সাকার গোলে বাছাইপর্বে গ্রুপ-আই থেকে পাঁচ ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পথে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই এগিয়ে চলেছে ইংল্যান্ড।
পরিবর্তিত দলটি লন্ডনের মাটিতে খুব দ্রুতই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড লিঙ্গার্ড ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও ১৮ মিনিটে জাতীয় দলকে এগিয়ে দিতে কোন ভুল করেননি। সাকার ডিফ্লেকটেড ক্রস থেকে বাম পায়ের ফিনিশিংয়ে তিনি বল জালে জড়ান।
এরপর পুরো প্রথমার্ধ ইংল্যান্ড আর কোন ভাল গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। তবে এর পিছনে এ্যান্ডোরার শক্তিশালী রক্ষনভাগ দায়ী। যদিও স্বাগতিকদের আটকাতে বেশ কিছু ফাউল তাদের করতে হয়েছে। বিরতির পর সাউথগেটের শিষ্যরা আবারো নিজেদের আধিপত্য দেখাতে শুরু করে। ম্যাচের বেশীরভাগ সময়ই এ্যান্ডোরার অর্ধেই বল থাকলেও আবারো সুস্পষ্ট সুযোগ তৈরী করতে ব্যর্থ হচ্ছিল ইংলিশ স্ট্রাইকাররা। ২৮তম জন্মদিনে কাল ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয়েছে লিডস ফরোয়ার্ড প্যাট্রিক বামফোর্ডের। খুব কাছে থেকে তার একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। চেলসির রিস জেমসের দুরপাল্লা শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।
৬২ মিনিটে সাউথগেট একসাতে তিনটি পরিবর্তন করে মাঠে নামান ম্যাসন মাউন্ট, জ্যাক গ্রীলিশ ও অধিনায়ক কেনকে। জুড বেলিংহ্যাম, জেমস ও বামফোর্ডের পরিবর্তে এই তিন তারকা মাঠে নামেন। মাঠে নেমেই আক্রমন চালাতে সহযোগিতা করতে থাকেন গ্রীলিশ। তারই একটি এসিস্টে বক্সের ভিতর পেনাল্টি আদায় করেন মাউন্ট। স্পট কিক থেকে ৭২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করতে ভুল করেননি কেন। লিঙ্গার্ড ছয় মিনিট পর ডান পায়ের জোড়ালো শটে জোসেপ গোমেজকে পরাস্ত করে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন। ইংল্যান্ডের আরেক বার্থডে বয় সাকা ৮৫ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখালে বড় জয় পায় ইংল্যান্ড।
এই মাঠেই ইউরোর ফাইনালে ইতালির কাছে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে হতাশ হতে হয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে। ঐ ম্যাচের পর ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বাইরে উত্তেজিত সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল সাউথগেট বাহিনীকে। সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে জাতীয় স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যপক পুলিশ মোতায়েন ছিল। এছাড়া বুদাপেস্টে হাঙ্গেরির বিপক্ষে মাঠে নেমে কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দা বর্ণবাদের স্বীকার হয়েছিলেন। যে কারনে কাল ওয়েম্বলিতে উপস্থিত ৬৭ হাজার সমর্থক এই ধরনের আচরনের প্রতিবাদে ম্যাচের শুরু থেকেই বেশ সড়ব ছিলেন।