বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » চালু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন
চালু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে উত্থাপিত হয় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। এরপর বিষয়টি এত দিন ছিল শুধু আলোচনার টেবিলে। তবে এ বছরই সব নাগরিকের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ১৮-৫০ বছর বয়সী সব কর্মক্ষম মানুষ পেনশন ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারবেন।
বিদেশি কর্মরত কর্মীরাও এতে অংশ নিতে পারবে। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা পরে বিবেচনা করা হবে।
ধারাবাহিকভাবে ১০ বছর মাসিক চাঁদা দেওয়াসাপেক্ষে পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। প্রতি নাগরিকের জন্য একটি পেনশন অ্যাকাউন্ট থাকবে। চাকরি পরিবর্তন করলেও পেনশন হিসাব অপরিবর্তিত থাকবে। মাসিক চাঁদার সর্বনিম্ন হার নির্ধারণ থাকবে।
প্রবাসীরা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা দিতে পারবে। বার্ষিক চাঁদা নিশ্চিত করতে হবে। চাঁদা বকেয়া থাকলে হিসাব স্থগিত থাকবে। পরবর্তীতে বিলম্ব ফিসহ বকেয়া দিয়ে হিসাব চালু করা যাবে। পেনশনকারী মৃত্যু পর্যন্ত সুবিধা ভোগ করবে। জমানো হিসাব থেকে এককালীন সব অর্থ উত্তোলন করা যাবে না, তবে অর্ধেক পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
৭৫ বয়স ধরে নমিনিও এ সুবিধা পাবে। পেনশন কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য পরিচালন ব্যয় সরকার বহন করবে। জমাকৃত অর্থ বিনিয়োগ করে সর্বোচ্চ লাভের ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ।
প্রথমিকভাবে স্বেচ্ছায় নাগরিকরা অংশ নিতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করবে সরকার। এখনো পেনশন প্রক্রিয়া নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে আইন করে কার্যকর করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এতে ছয় মাস থেকে আগামী এক বছর সময় লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।