মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম | স্বাস্থ্য » ৩৯ দিন পর উঠল বিধিনিষেধ
৩৯ দিন পর উঠল বিধিনিষেধ
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের তাণ্ডব শুরু হওয়ার পর সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ ৩৯ দিন পর তুলে নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর ছিল এ বিধিনিষেধ
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সারা দেশে বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। তখন ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিধিনিষেধ ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও বাংলাদেশে এ রোগের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের জারি করা সব বিধিনিষেধ ও নির্দেশনার সঙ্গে দুটি শর্ত সংশোধন করে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। এই বিধিনিষেধ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে করোনার জন্য সরকারি বিধিনিষেধ আর থাকবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
২২ ফেব্রুয়ারির পর আর বিধিনিষেধ দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, আর বিধিনিষেধ দেওয়া হবে না। এটা আর বাড়ছে না।’
‘তবে যেকোনো অনুষ্ঠানে যাবেন, যেখানে যাবেন, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। সবাইকে সেটা নিশ্চিত করার অনুরোধ করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার মধ্যে ২০২০ সালের মার্চের শেষে দেশে গণপরিবহন বন্ধসহ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। কয়েক মাস পর ওই বছরের জুলাই থেকে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতে থাকে।
এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার পর গত বছরের মার্চে পুনরায় করোনার ডেলটা ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়। আবার আরোপ করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। তবে গত বছরের আগস্টে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হতে থাকে।
কিন্তু বছরের শেষে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও তার সংক্রমণ দেখা দেয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আবারও বিধিনিষেধে আরোপ করা হয়। যা আজ মঙ্গলবার থেকে উঠে যাচ্ছে।