সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | ফতুল্লা | শিরোনাম » নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণে দগ্ধ দুজন মারা গেছেন
নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণে দগ্ধ দুজন মারা গেছেন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ১০ জনের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড জাতীয় প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের মৃত্যু হয়
মারা যাওয়া দুজন হলেন জজ মিয়া (৫০) ও আলম (৪৫)। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।
তিনি জানান, জজ মিয়ার শরীর ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। আর আলমের শরীরের শতভাগ দগ্ধ নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। মধ্যরাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন বাকি চারজনের অবস্থাও গুরুতর বলে জানান এই চিকিৎসক।
এর আগে, রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার আলীগঞ্জ বেপারি বাড়ি এলাকায় জজ মিয়ার বাড়িতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড জাতীয় প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। দগ্ধ ১০ জনের মধ্যে ছয়জন নারী, দুই শিশু ও দুজন পুরুষ রয়েছেন।
মৃত জজ মিয়ার ভাগিনা স্বপন মিয়া জানান, কয়লা ব্যবসায়ী জজ মিয়া দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে থাকতেন ফতুল্লার পাগলার আলীগঞ্জের ওই বাসাটিতে। এটি তার নিজের বাড়ি। ঘটনার আগমুহূর্তে বাড়ির গেটের পাশে অজু করতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই আগুনে দগ্ধ হন জজ মিয়া।
নিহত আলমও একই এলাকায় থাকতেন। তিনি ট্রাকচালক ছিলেন। ঘটনার সময় সেখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তিনিই জলন্ত সিগারেট সিলিন্ডারের পাশে ফেললে সেখান থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এতে তার শরীরও পুড়ে যায়।
বাড়ির মালিক দগ্ধ জজ মিয়ার ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী সিয়াম জানান, পাশের বাড়ির ট্রাকমালিক আবদুল বাতেন তার গাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার রিপেয়ারিং করার জন্য খালি করতে জজ মিয়ার বাড়ির গলিতে নিয়ে গ্যাস ছেড়ে দেন। এ সময় অন্য একটি ট্রাকের চালক আলম মিয়া কাছে এসে সিগারেটে আগুন ধরালে গ্যাসের সিলিন্ডারটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দগ্ধ হন কয়েকটি পরিবারের নারী ও শিশুসহ ১০ জন। একই সঙ্গে মিয়ার বাড়ির গ্যাসলাইনের রাইজারেও আগুন ধরে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে আগুন নিভিয়ে দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ফতুল্লা স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ফতুল্লা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলম হোসেন সময় সংবাদকে জানান, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।
দগ্ধ হাসপাতালে ভর্তি বাকিরা হলেন হাসিনা মমতাজ (৪৭), আসমা বেগম (৪৫), সাথী আক্তার (২০) ও তার মেয়ে হাফসা আক্তার (৬)।
আর তাহমিনা আক্তার (১৮) নামে একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।