রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | ফতুল্লা | শিরোনাম » ফতুল্লায় গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ১১
ফতুল্লায় গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ১১
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে নিগৃত গ্যাসের আগুনে নারী-শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- ফতুল্লা থানার আলীগঞ্জের জজ মিয়া (৫৫) তার স্ত্রী শেফালী (৪৫), বাতেন (৫০), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৪২), পুত্র তোহা (১৪), ট্রাক চালক (৩৮), হাসিনা বেগম (৪০), আব্দুর রহমানের মেয়ে হাফসা (৬), আফসানা (২), আব্দুল মালেকর মেয়ে তাহমিনা (১৫) ও সাথী (৩৪)।
এদের মধ্যে আলম, জজ মিয়া, সাথী, আসমা ও হাসিনাসহ ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে। বাকিদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে ফতুল্লার আলীগঞ্জেস্থ জজ মিয়ার বাড়ীর সামনে।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে বাতেন মিয়া বড় গাড়ীর একটি পুরাতন গ্যাসের সিলেন্ডার জজ মিয়ার বাড়ীর সামনের রাস্তায় এনে রাখে। সেই গ্যাস সিলেন্ডার থেকে রোববার দুপুরে বাতেন মিয়া গ্যাস অপসারন করে সিলেন্ডারটি খালি করছিলো। এমন সময় অপর একটি গাড়ীর চালক আলম ঘটনাস্থলে এসে সিগারেট জ্বালায়। বাতাসের সঙ্গে মিশে যাওয়া গ্যাসে সিগারেটের আগুন মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। এত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওই ১১ জন দগ্ধ হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। কার শরীরের কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে সেটা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
দগ্ধদের এক স্বজন জানান, হঠাৎ দুপুরে বাসার সামনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সময় তারা সবাই বাসার ভেতরে ছিলো।
ফায়ার সার্ভিসের বিসিক স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলম হোসেন জানান, টিনশেটের ঘরের সামনে গাড়ির সিলিন্ডার রেখে সেটি ঠিক আছে কি না তা যাচাই করছিল কয়েকজন। ওই সময় সেখানে একজন জলন্ত সিগারেট ফেলে দেয়। এতে ওই গ্যাস সিলিন্ডারের নিগৃত গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটে এবং সেখানে থাকা টিনশেটের ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে ১১ জন দ্বগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে ৮ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।