শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | রাজশাহী | শিরোনাম » প্রতিটি উপজেলায় পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী
প্রতিটি উপজেলায় পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। খাদ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি কৃষকের শষ্যবীজ সংরক্ষণেও পারিবারিক সাইলো ভূমিকা রাখবে।
নওগাঁর পোরশা উপজেলার সরাইগাছি খাদ্য গুদাম (এলএসডি) প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত দরিদ্র, অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং দুর্যোগ প্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য হাউজহোল্ড সাইলো সরবরাহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে হাউজহোল্ড সাইলো বিতরণ ও সেচ লাইসেন্স বিতরণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারি, পোরশা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মনজুর মোরশেদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য যোগান দিতে হচ্ছে। উৎপাদন করেই আমরা খাই। আমাদের আরো উৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যাতে চাষের বাইরে না থাকে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমিতে সেচ ও সারের জন্য প্রণোদণা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় জনগণের কল্যাণের কথা ভাবেন। একটি দলের নেতারা করোনার টিকা নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল। তারা অনেকেই লুকিয়ে টিকা নিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ২৬ ফেব্রুারি প্রত্যেক ওয়ার্ডে ক্রাস কর্মসূচির আওতায় গণটিকা দেওয়া হবে। নওগাঁ জেলায় সাড়ে তিন লাখ টিকা দেওয়া হবে। তিনি সকলকে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার আহবান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, কৃষক ধানের নায্যমূল্য পাচ্ছে, কৃষকের ভিত শক্ত হচ্ছে। করোনাকালে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, কেউ না খেয়ে মারা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮ বিভাগে ২৩ জেলার ৫৫টি উপজেলায় সর্বমোট ৩ লাখ পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হবে। নওগাঁ জেলায় মোট ২৮ হাজার সাইলো বিতরণ করা হবে তার মধ্যে আজ পোরশা উপজেলায় এ কর্মসূচির আওতায় ৬ হাজার পিস পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হয়। দূর্যোগকালে প্রতিটি পারিবারিক সাইলাতে ৪০ কেজি ধান অথবা ৫৬ কেজি চাল অথবা ৭০ লিটার পানি সংরক্ষণ করা যাবে।