শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » যেসব কারণে চাকরি হারালেন দুদকের শরিফ
যেসব কারণে চাকরি হারালেন দুদকের শরিফ
চাকরিবিধি মেনে ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন দুদক আইন এবং কর্মচারী চাকরি বিধিমালা-২০০৮ রয়েছে। সেই অনুযায়ী সবাইকে কাজ করতে হয়। কিন্তু জনাব শরীফ সেগুলো অব্যাহতভাবে লঙ্ঘন করেছেন। যে কারণে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এটি শুধু কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়, এটি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির বিষয়।
শরিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগের কথা জানা গেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. আদালতের অনুমোদন ব্যতীত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড কক্সবাজার শাখার একটি ব্যাংক একাউন্টের লেনদেন স্থগিত করেন শরিফ উদ্দিন। বিষয়টি উচ্চ আদালতে প্রমান হওয়ায় তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের বিষয়টি ধরা পড়ে।
২. কক্সবাজার জেলায় র্যাব কর্তৃক পরিচালিত অপারেশনে জব্দকৃত ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকার একটি চালান রাষ্ট্রীয় কোষাগার অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রাখেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দুদকের ভাবমুর্তী ক্ষুন্ন হয়।
৩. চট্টগ্রাম হতে পটুয়াখালী জেলায় বদলির আদেশ হওয়ার পর বদলির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রীট দায়ের এবং নির্ধারিত সময়ের এক মাস পরে যোগদানপত্র ই-মেইলে প্রেরণ এবং পরবর্তী এক মাস পরে স্ব-শরীরে নতুন কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া।
৪. পুরাতন কর্মস্থলের নথিপত্র হস্তান্তর না করে নতুন কর্মস্থলে যোগদান এবং তৎপরবর্তী আড়াই মাস পরে নথিপত্র হস্তান্তর করা।
৫. চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার পৃথক ৬ জন ব্যক্তি কর্তৃক উপ-সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি, চাঁদাবাজি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির অভিযোগ দাখিল করেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালা-২০০৮ এর ৫৪(২) ধারায় প্রদত্ব ক্ষমতা বলে শরিফ উদ্দীনকে চাকুরীচ্যুত করে কমিশন।