শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » কোস্ট গার্ডকে আরো সক্ষম ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » কোস্ট গার্ডকে আরো সক্ষম ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
৪৭৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কোস্ট গার্ডকে আরো সক্ষম ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

---

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন দায়িত্ব পালনে সক্ষম এমন একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন দায়িত্ব পালনে সক্ষম করে তুলতে আমরা কোস্ট গার্ডকে একটি আধুনিক ও যুগপোযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ার লক্ষে কাজ করছি।’
শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দফতরে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিজস্ব জনবল নিয়োগ কার্যক্রম এবং ফোর্স পুনর্গঠনের মাধ্যমে এ বাহিনীর সক্ষমতা অর্জনে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ব্লু-ইকোনমি ও গভীর সমুদ্রে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য এ বাহিনীর রূপকল্প-২০৩০ ও ২০৪১ অনুযায়ী জাহাজ, সরঞ্জামাদি ও জনবল আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে আরো বিকশিত করার জন্য তাঁর সরকারের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একাটি শিপইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী ভাষণে উল্লেখ করেন।
সরকার প্রধান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ড্রাইডক এবং চট্টগ্রাম ড্রাইডক সেটাও আমরা নৌবাহিনীর হাতে সমর্পণ করেছি। ভবিষ্যতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি শিপইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের আছে। আশা করছি, আমরা তা করতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা জায়গা পছন্দ করে রেখেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পরামর্শে অলাভজনক উল্লেখ করে খুলনা শিপইয়ার্ড ও বিএনপি সরকারের আমলে বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা সরকারে আসার পর এই শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীর হাতে অর্পণ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু আমাদের নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, তাই আমরা পরমুখী হয়ে থাকবো কেন। তা ছাড়া ঐতিহাসিক কাল থেকেই বাংলাদেশে জাহাজ শিল্প নির্মাণ এবং রফতানি বাণিজ্য ছিল। তাই সেটাকে আমরা আবারো কার্যকর করি। যার ফলে আমরা শুধু বিদেশ থেকে কিনে না এনে নিজেরাও তৈরি করার সক্ষমতা অর্জন করেছি এবং ভবিষ্যতে আরো করবো।
তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে কোস্ট গার্ডের জন্য বিভিন্ন আকারের ৭৭টি জাহাজ ও জলযান নির্মাণ ও সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এবং খুলনা শিপইয়ার্ডে কোস্ট গার্ডের জন্য দু’টি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল, একটি ফ্লোটিং ক্রেন, দু’টি টাগ বোট এবং ১৬টি বোট তৈরি করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের ভেসেল ও জাহাজসমুহ নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণর জন্য গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ডও নির্মাণ করা হচ্ছে। নিজস্ব ইয়ার্ডে জাহাজ তৈরির সক্ষমতা আমাদের আত্মবিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

গত বছর একইসঙ্গে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ৯টি জাহাজ এবং একটি ঘাঁটি কমিশনিং করার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নৌযানগুলো যুক্ত হওয়ায় সংস্থাটির জন্য একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। এ ছাড়াও, কোস্ট গার্ডের গভীর সমুদ্রে টহল উপযোগী আরও ৪টি ওপিভি এবং ৯টি প্রতিস্থাপক জাহাজের নির্মাণেরও অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগির এ বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, হোভ্যারক্র্যাফট ও দ্রুত গতি সম্পন্ন বোট। এ ছাড়াও, গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সঙ্গে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এ সকল জাহাজের সংযোজন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ কোস্ট গাড অধিকতর সক্ষমতা অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল চার কোস্ট গার্ড সদস্যকে তাদের সাহসিকতা ও বিশেষ কৃতিত্বের জন্য পদক তুলে দেন।
পরে, কোস্ট গার্ডের কর্মকান্ড নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী কোস্ট গার্ড সদস্যদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন এবং তাঁকে রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজের ক্ষেত্রে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ‘বে অব বেঙ্গল’। তাই এর যথাযথ নিরাপত্তা বিধান জরুরি এবং আমরা তা যথাযথভাবে করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা এবং সামুদ্রিক জলসীমার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, দেশের সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা বিধান, চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান, ডাকাত দমনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় জনগণের জানমাল রক্ষায় কোস্ট গার্ডের ভূমিকা উত্তরোত্তর বাড়ছে। জাটকা নিধন রোধে এবং মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য কোস্ট গার্ডকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সরকার প্রধান কোস্ট গার্ড সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবসময় দেশপ্রেম, সততা ও ঈমানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে কোস্ট গার্ডের সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন। দেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আমি আশা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, এই বাহিনীর ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং আপনাদের সার্বিক কল্যাণে প্রয়োজনে যা যা করার দরকার অবশ্যই আমাদের সরকার সব করে যাবে।
১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দল হিসেবে মহান জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আনীত বিলের কারণেই কোস্ট গার্ড একটি বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র এবং সমুদ্র সম্পদের ওপর দেশের জনগণের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে যে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স এন্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেন, সে অনুযায়ী দ’ুটি বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেও তাঁর সরকার দেশের সমুদ্রসীমা নির্দিষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি জাতিসংঘও এই আইন পাশ করেছিল ১৯৮২ সালে। কাজেই এর আগে বিশে^র বিভিন্ন দেশে সমুদ্র সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যাবলী এই ’৭৪ সালের আইন অনুযায়ীই সমাধান করা হতো। যদিও ’৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল জিয়া, এরশাদ বা খালেদা জিয়া-তারা কেউই এ দেশের সমুদ্র সীমা সমস্যার সমাধানে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
উপকূলীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্ট গার্ডের স্টেশন ও আউটপোস্টসমূহে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, বেইসসমূহের কর্মকর্তা ও নাবিকদের বাসস্থান, অফিসার্স মেস, নাবিক নিবাস ও প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর সুনাম বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী অঞ্চলে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইস ‘বিসিজি বেইস অগ্রযাত্রা’ প্রতিষ্ঠারও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।



এ পাতার আরও খবর

দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ
ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
সালাম মুর্শেদী অবৈধভাবে বাড়ী দখল করেননি, তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ ও অনুনোমোদিত সালাম মুর্শেদী অবৈধভাবে বাড়ী দখল করেননি, তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ ও অনুনোমোদিত
ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ড ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ড
তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ
মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বাড়ি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বাড়ি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের উপ-মন্ত্রীর বৈঠক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের উপ-মন্ত্রীর বৈঠক
বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট নিরাপদ : প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট নিরাপদ : প্রধানমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি নৌযোগাযোগের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি নৌযোগাযোগের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
জঙ্গি ছিনতাই : রাফি ৭ দিনের রিমান্ডে জঙ্গি ছিনতাই : রাফি ৭ দিনের রিমান্ডে

আর্কাইভ