বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | রাজনীতি | শিরোনাম » বিএনপির ঐক্য বড় বিষয় না, জনগণের ঐক্যই গুরুত্বপূর্ণ: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির ঐক্য বড় বিষয় না, জনগণের ঐক্যই গুরুত্বপূর্ণ: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি নয় জনগণের ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে। ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দলও রয়েছে। তাদের ২০ দল নিয়ে জোট আছে, এটা বাড়িয়ে আরও ৩০টা দল হতে পারে। কিন্তু জনগণের ঐক্য হতে হবে, জনগণের মাঝে কতটা ভিত্তি আছে ৩০টা দলের, দলের সংখ্যা বড় নয়। জনগণের ঐক্যই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (আইএফএডি) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নড হ্যামলার্সের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নতুন ইসি গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নাম দেয়ার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে অনুসন্ধান কমিটি। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সার্চ কমিটির কাছে নাম পাঠানো হয়েছে কি না- জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পাঠানো হবে আজকে। যে সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যেই আমরা পাঠাবো।’
নাম কী দলের সভানেত্রী নির্ধারণ করবেন নাকি জোটগতভাবে নাম পাঠানো হবে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দল থেকে আমরা এককভাবে পাঠাবো। জোটের সদস্যরা তাদের মতো করে তারা নাম দেবে।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নাম দেয়ার বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। আমরা নাম দিয়েছি (প্রধানমন্ত্রীর কাছে), আমি বলতে পারি আমি যাদেরকে মনে করেছি বিভিন্ন দায়িত্বে রয়েছিল দেশে, জাতীয় পর্যায়ে তাদের একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে, স্ব স্ব পেশায় ও চাকরিতে শীর্ষ স্থানে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, তাদের নাম আমরা দিয়েছি। যারা তাদের ব্যক্তিত্ব, তাদের নৈতিকতা অতীতে প্রমাণ করেছে। যাতে স্বাধীনভাবে আত্মশক্তি নিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।’
‘সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সেটা ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশনকে জাতিকে সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।’
বিএনপি নতুন ইসি গঠনে নাম দেয়নি। তারা সরকার পতনের আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সার্চ কমিটিতে নাম না দেওয়ায় কিছু যায় আসে না। দেশের সংবিধান অনুযায়ী এদেশে নির্বাচন হবে। তারা সার্চ কমিটিতে নাম দিলো কী দিলো না তাতে কিছু যায় আসে না। সার্চ কমিটি তাদের অবস্থান থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটা এমন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে যেটা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তারা যতই আন্দোলনের হুমকি দিক না কেন- অতীত অভিজ্ঞতা থেকে যদি তারা শিক্ষা পেয়ে থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে।’
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘আমাদের ভুলভ্রান্তি অতীতে থাকতে পারে। আমাদের দুর্বলতা থাকতে পারে। কিন্তু আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে আমরা অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দর করার জন্য যে নির্বাচন কমিশনই আসুক তাদেরকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’