মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | রংপুর | শিরোনাম » আদালতের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ জাদুঘরে নন্দী মূর্তি হস্তান্তর
আদালতের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ জাদুঘরে নন্দী মূর্তি হস্তান্তর
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের বামনটারী গ্রামের প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হওয়ার ৮ মাস পর নন্দী মূর্তিটি (গো মূর্তি) উত্তরবঙ্গ জাদুঘরে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের জন্য হস্তাস্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাদুঘর চত্বরে আয়োজিত অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের ট্রাস্টিদের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠাতা এসএম আব্রাহাম লিংকনের কাছে নন্দী মূর্তিটি হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল উৎপল কুমার রায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাগেশ্বরী সার্কেল সুমন রেজা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ লাল ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবীব নীলু উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ও জেলা আইনজীবী সমিতিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২ জানুয়ারি নাগেশ্বরীর আমলী আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রদত্ত আদেশ মোতাবেক মূর্তিটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের মধ্য সুখাতি বামনটারী (কাশিরভিটা) এলাকায় ধানক্ষেতের মাঝে প্রায় ৬ শতাংশ জায়গাজুড়ে মাটির একটি উঁচু ঢিবি রয়েছে। স্থানীয়দের অভিমত, এটি দুই শতাধিক বছর আগেকার একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। এ জন্য জায়গাটি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড রয়েছে।
এ অবস্থায় গত বছরের ৯ জুলাই ওই ঢিবির মাটি খননের সময় স্থানীয় অধিবাসী শ্রীধর চন্দ্র বর্মণ ও তার সঙ্গীরা পাথরের তৈরি নন্দী মূর্তিটি পান। পরদিন ১০ জুলাই ওই এলাকার বিট পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি জানার পর মূর্তি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে মূর্তিটি জেলা সদরে আনা হয়। উদ্ধারকৃত প্রাচীন নন্দী মূতিটির দৈর্ঘ্য ১৩ ইঞ্চি, প্রস্থ ৫ দশমিক ৫ ইঞ্চি, মাথার দিকে উচ্চতা ১১ ইঞ্চি এবং পেছনের দিকে উচ্চতা ৭ দশমিক ৫ ইঞ্চি। ওজন ২০ কেজি।
মূর্তি প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, কালচে রঙের পাথর খোদাই করা মূর্তিটি একটি মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ, যা এই এলাকার প্রাচীনত্বের প্রতীক। এ জন্য এটি সংরক্ষণ এবং প্রদর্শনের জন্য জাদুঘরে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, প্রাচীন নন্দী মূর্তিটি জাদুঘরকে সমৃদ্ধ করবে। এ জন্য তিনি পুলিশ বিভাগকে কৃতজ্ঞতা জানান। সেইসঙ্গে কারও কাছে যদি প্রদর্শনযোগ্য নিদর্শন থাকে তা জাদুঘরে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।