শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১

N2N Online TV
সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » লা লিগা: এ্যাথলেটিকোকে চার গোল দিয়ে টেবিলের চার নম্বরে উঠে এলো বার্সেলোনা
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » লা লিগা: এ্যাথলেটিকোকে চার গোল দিয়ে টেবিলের চার নম্বরে উঠে এলো বার্সেলোনা
১১৫ বার পঠিত
সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

লা লিগা: এ্যাথলেটিকোকে চার গোল দিয়ে টেবিলের চার নম্বরে উঠে এলো বার্সেলোনা

---

জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে বেশ কিছু খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ানোর পুরস্কার প্রথম ম্যাচেই পেয়ে গেছে বার্সেলোনা। রোববার ছয় গোলের উত্তেজনাকর ম্যাচে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে উজ্জীবিত কাতালান জায়ান্টরা। ম্যাচে জর্ডি আলবা দুর্দান্ত এক গোল করেছেন, অভিজ্ঞ দানি আলভেস গোল করার পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারনে মাঠত্যাগ করেছেন। কিন্তু তারপরেও বার্সেলোনাকে আটকানো যায়নি।
ক্যাম্প ন্যুতে পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাথলেটিকোকে পেয়ে বার্সেলেনা যেন জয়ের নেশায় মত্ত হয়ে উঠেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ৪০ মিনিটে চার গোল করে অতিথিদের দাঁড়াতেই দেয়নি। এ্যাথলেটিকোর হয়ে উরুগুইয়ান তারকা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করলেও তা হার এড়াতে যথেষ্ঠ ছিলনা। এই জয়ের মাধ্যমে সেপ্টেম্বরের পর জাভি হার্নান্দেজের দল প্রথমবারের মত শীর্ষ চারে উঠে এসেছে, দুই পয়েন্ট পিছিয়ে এ্যাথলেটিকো নেমে গেছে পাঁচ নম্বরে।
ম্যাচ শেষে বার্সা বস জাভি বলেছেন, ‘পুরো দল, ভক্ত-সমর্থক এমনকি সার্বিকভাবে পুরো ক্লাবের জন্য এই ধরনের একটি জয় প্রয়োজন ছিল। এটা আমাদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। আমাদের এখন আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।’
এ্যাথলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে বলেছেন, ‘আমরা যদি নিজেদের সুযোগগুলো সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারতাম তবে সবাই হয়ত বলতো কাউন্টার এ্যাটাক থেকে আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ হিসেবে নি:সন্দেহে বার্সা আজ ভাল খেলেছে।’
যদিও ম্যাচের শুরুতেই ইয়ানিক কারাসকোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারী এ্যাথলেটিকো। ৮ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের সহায়তায় কারাসকো গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। কিন্তু এই গোলের পর প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল বার্সেলোনার আধিপত্য। বার্সেলোনার এই ফিরে আসার প্রানভ্রমরা ছিলেন জানুয়ারিতে দলে আসা এ্যাডামা ট্রায়োরে। তার সাথে নতুন চুক্তিভূক্ত ফেরান তোরেসও মূল একাদশে খেলতে নেমেছিলেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা জার্সি গায়ে অভিষেক হয়েছে আর্সেনাল থেকে সদ্য আসা অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের। ক্লাব থেকে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা ওসমানে ডেম্বেলে দলে থাকলে মাঠে নামার সুযোগ পাননি। গ্রীষ্মে ডেম্বেলের সাথে বর্তমান চুক্তি শেষ হয়ে যাবার কথা থাকলেও এখনো চুক্তি নবায়নের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
১০ মিনিটে ট্রায়োরের ক্রস থেকে আলভেসের ফ্লোটিং পাসে আলবা দুর্দান্ত ভলিতে সমতা ফেরান। দ্বিতীয় গোলের যোগানদাতাও ছিলেন ট্রায়োরে। ২১ মিনিটে বামদিক থেকে তার ক্রসে গাভি দলকে এগিয়ে দেন। কয়েক মিনিট পরে পেড্রির গোলে ব্যবধান দ্বিগুন হতে পারতো। কিন্তু তার শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। তবে আলভেসের চিপ ক্রসবারে লেগে ফেরত আসলে রোনাল্ড আরাওজো ৪৩ মিনিটে কোন ভুল করেননি।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর চার মিনিটের মধ্যে গাভির কাট-ব্যাকে আলভেস কোনাকুনি ফিনিশিংয়ে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করলে বার্সেলোনার জয় সময়ের ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৩ সালের পর বার্সেলোনার হয়ে এটাই লা লিগায় অভিজ্ঞ ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের প্রথম গোল। যদিও ৫৮ মিনিটে সুয়ারেজের গোলে এ্যাথলেটিকো কিছুটা লড়াইয়ের আভাষ দিয়েছিল। তার উপর কারাসকোকে পিছন থেকে ফাউলের অপরাধে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে আলভেস ৬৯ মিনিটে মাঠত্যাগ করলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সেলোনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচ ধরে রাখতে পারেনি এ্যাথলেটিকো। জাভি যখন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন চতুর্থ স্থানে থাকা এ্যাথলেটিকোর থেকে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে লিগ টেবিলের নবম স্থানে ছিল বার্সেলোনা।
এদিকে দিনের শেষ ম্যাচে মার্কো আসেনসিওর একমাত্র গোলে গ্রানাডাকে পরাজিত করে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান আরো শক্তিশালী করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৭৪ মিনিটে গ্রানাডার রক্ষানভাগকে পাশ কাটিয়ে দুর্দান্ত শটে রিয়ালকে তিন পয়েন্ট উপহার দেন আসেনসিও। এই জয়ে সেভিয়ার থেকে ছয় পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো কার্লো আনচেলত্তির দল।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেভিয়া ওসাসুনার সাথে গোলশুন্য ড্র করার পর তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল বেটিস ভিয়ারিয়ালের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হওয়ায় রিয়ালের পয়েন্টের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ বেড়ে যায়। ইনজুরি ও নিষেধাজ্ঞার কারনে করিম বেনজেমা, ভিনিসিয়াস জুনিয়রসহ চারজন মূল খেলোয়াড় দলে না থাকলেও তার প্রভাব পড়েনি রিয়ালের পারফরেমেন্সে।



আর্কাইভ