শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » আমরা আধুনিক গণগ্রন্থাগার নির্মাণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি - সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
আমরা আধুনিক গণগ্রন্থাগার নির্মাণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি - সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, একটি দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আধুনিক গণগ্রন্থাগার নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের সরকারি গণগ্রন্থাগারের সেবা কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণের একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে ।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর শাহবাগস্থ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২২’ এর প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার, ডিজিটাল গ্রন্থাগার।’
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপনের তাৎপর্য’ শীর্ষক অপর এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
প্রধান অতিথি বলেন, গ্রন্থাগার তৈরি করতে পারে জ্ঞানমনস্ক আলোকিত মানুষ, টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন অপরিহার্য। উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক গণগ্রন্থাগার নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগার যত সমৃদ্ধ হবে, দেশ ততো এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন,আমাদের সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতির রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। নতুন প্রজন্মকে এ সমৃদ্ধ সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী করে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে একটি আলোকিত, মানবিক ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভবপর হবে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির আলোকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার। শিগগিরই কবি সুফিয়া কামাল জাতীয় গ্রন্থাগারকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ভবনে স্থানান্তর করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক।
এর আগে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।