শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ভারতের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে মরেছিল ৩৮ চীনা সেনা!
ভারতের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে মরেছিল ৩৮ চীনা সেনা!
২০২০-এর ১৫ জুন গলওয়ান উপত্যকায় ঠিক কী হয়েছিল? চীন বরাবর সেই সম্পর্কে তথ্য দিতে অনিচ্ছা দেখিয়েছে। এবার সেই তথ্য বেরিয়ে এসেছে
গলওয়ান সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে গলওয়ান নদীতে ভেসে গিয়েছিলেন ৩৮ জন চীনা সেনা। এমনই দাবি করেছে অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রে। পাশাপাশি ওই সংঘর্ষের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বেইজিংয়ের তথ্য ও দাবিকেও অনেকাংশে অসত্য বলে দাবি করা হয়েছে।
২০২০ এর ১৫ জুন। পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারতীয় সেনা ও চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)’। মারপিট ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর খবর জানানো হয় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। কিন্তু চীনের পক্ষ থেকে? আজ পর্যন্ত তা খোলাসা করেনি বেইজিং। এ যাবৎ মাত্র তিনজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে চীন। এবার সম্ভবত সেই রহস্যের ওপর থেকে পর্দা ওঠা শুরু হলো।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্র ‘ক্ল্যাক্সন’-এ প্রকাশিত এই সংক্রান্ত সমীক্ষামূলক প্রতিবেদন অন্তত সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সেদিন ভারতীয় সেনার তাড়া খেয়ে গলওয়ান নদী পেরোতে গিয়ে সলিলসমাধি হয়েছিল অন্তত ৩৮ জন চীনা সেনার। এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে একাধিক নথি এবং নেটমাধ্যম ঘেঁটেছে বলে দাবি করেছে সংবাদপত্রটি। কথা বলা হয়েছে একাধিক জনের সঙ্গে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২০ সালের ১৫ জুন গলওয়ান উপত্যকায় চীনা নির্মাণ উচ্ছেদ করতে ভারতীয় সেনার একটি দল যায়। পিএলএ-র কর্নেল কি ফাবাওয়ের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। তখন সেখানে উপস্থিত অন্তত ১৫০ চীনা সেনা। ভারতীয় সেনার দলটির সঙ্গে আলোচনার পরিবর্তে তারা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। পাল্টা দিতে দেরি করেনি ভারতীয় সেনাও। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘যে মুহূর্তে কর্নেল ফাবাও আক্রমণ করেন, সঙ্গে সঙ্গে তাকে কবজা করে নেয় ভারতীয় সেনা। ফাবাওকে উদ্ধারে ঝাঁপ দেন এক পিএলএ কমান্ডার ও এক সেনাকর্মী। স্টিলের পাইপ, পাথর, লাঠি এলোপাথাড়িভাবে চালাতে থাকেন তারা। তখনই সংঘর্ষে তিন চীনা সেনা ও ভারতীয় সেনাদের মৃত্যু হয়।’ যা পরবর্তীতে বেইজিংও স্বীকার করে নিয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, ‘সঙ্গীদের মৃত্যু দেখে ওই নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে দৌড়ে পালাতে শুরু করে চীনা সেনারা। অকুস্থল থেকে তিব্বতের মূল ভূখণ্ডে ঢুকতে পেরোতে হয় গলওয়ান নদী। পরিস্থিতি এমন হয়, যে ভয়ে দিশেহারা হয়ে পর্যাপ্ত সুরক্ষা না নিয়েই গলওয়ান নদীতে ঝাঁপ মারে বহু চীনা সেনা। খরস্রোতা পাহাড়ি নদীর ঢেউয়ের ধাক্কায় মুহূর্তে তলিয়ে যান ৩৮ জন সেনাকর্মী।’
এই সংঘর্ষেই ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু চীনের সেনার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কিছুই প্রায় জানা যায়নি। যদিও বিভিন্ন সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছিল, চীনের দিকে ক্ষয়ক্ষতির বহর অনেক বেশি। এ বার উঠে এল সেই তথ্য।
ঘটনার পর বেইজিং বিভিন্ন সময় একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছিল, তা গলওয়ান সংঘর্ষের। কিন্তু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অন্যান্য সময় রেকর্ড করা বিভিন্ন ভিডিওজুড়ে তা বিশ্বাসযোগ্য কায়দায় ছড়িয়ে দেওয়ার পথ নিয়েছিল লাল চীন। যাতে সত্য ধামাচাপা দেওয়া যায়।